ক্লাস সিক্সে পড়াকালীন বিয়ে। বিচ্ছেদ পেতে মুসলমান হওয়া। নিউ থিয়েটার্স থেকে সত্যজিতের ছবিতে। ভারতী দেবীকে নিয়ে লিখলেন সোমেশ ভট্টাচার্যক্লাস
সময়টা ভয়ঙ্কর অস্থির। ইউরোপে বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে গিয়েছে।
রাইচাঁদ বড়ালের বাড়িতে এক সপ্তদশীকে নিয়ে এলেন ব্যায়ামবীর বিষ্ণুচরণ ঘোষ। কী? না, মেয়েটিকে ফিল্মে নামাতে হবে।
ভদ্রঘরের মেয়েরা তখন সিনেমা লাইনে বিশেষ নামত না।
এই মেয়েটি যে শুধু ভদ্রঘরের তা-ই নয়, হ্যারিসন রোডে (এখনকার মহাত্মা গাঁধী রোড) মহেন্দ্রনাথ দত্তের দোকানের ঠিক উল্টো দিকে তাদের পারিবারিক গয়নার দোকান।
কিন্তু মামলায় আর ব্যবসায়িক বিপর্যয়ে মেয়েটির বাবা প্রায় সর্বস্বান্ত। তাই তাঁদের বলেকয়ে রাজি করিয়ে পিতৃবন্ধু বিষ্ণুচরণ মেয়েটিকে নিয়ে এসেছেন।
বড়াল মশাই ডাকসাইটে সুরকার, নিউ থিয়েটার্সের অন্যতম স্তম্ভ। তিনি মেয়েটিকে বললেন, একটা গান গাও। মেয়ের ভয়ডর নেই। তাঁরই সুরে কে এল সায়গলের গাওয়া ‘প্রেম নহে মোর মৃদু ফুলহার’ গাইল সে। একটু-আধটু যে নাচতেও পারে, তা-ও জানাতে ভুলল না। রাইচাঁদ ফোন করলেন নিউ থিয়েটার্সের পরিচালক নীতিন বসুকে। খানিক কথাবার্তার পরে ফোন রেখে বললেন, ‘‘তুমি কাল ওখানে এসো। টেস্ট নেওয়া হবে।’